
দড়ি দিয়ে ক্যাপসুল বেঁধে জাহাজে ড্রাগন ক্যাপসুল তুলে খোলা হল হ্যাচ। বিশেষ চেয়ারে বার করা হল ৪ নভশ্চরকে। ৯ মাস পর পৃথিবীর আলো দেখলেন সুনীতারা। নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামসরা নিখুঁত অবতরণ করল ড্রাগন ক্যাপসুল।
ভারতীয় সময় ৩টে বেজে ২৭ মিনিটে অবতরণ করেছে। ধাপে ধাপে ঘণ্টায় সাড়ে সাতাশ হাজার মাইল থেকে গতিবেগ কমানো হয় ক্যাপসুলের। মাটি থেকে ১৮ হাজার ফুট উপরে থাকার সময় খুলে যায় জোড়া প্যারাস্যুট। মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় খোলে আরও দুটি প্যারাস্যুট। ক্যাপসুলের গায়ে দড়ি বেঁধে হাইড্রলিক আর্মের সাহায্যে জাহাজে তোলা হয়। ২০২৪-এর ৫ জুন, ৮ দিনের জন্য মহাকাশে গেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর। কিন্তু, তারপরই বিপত্তি বাধে।
যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে তাঁরা মহাকাশে গেছিলেন, তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। সুনীতাদের ওই মহাকাশযানে করে ফেরানোর ঝুঁকি নিতে পারেনি NASA. যার জেরে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই আটকে পড়েন তাঁরা। এরপর থেকে কখনও একটু আশার আলো দেখা গেছে। কখনও আবার দপ করে সেই আলো নিভে গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর, দুই নভোশ্চরকে ফেরাতে ইলন মাস্কের সাহায্য চান। সুনীতাদের ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করে নাসা এবং ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স। মঙ্গলবার সুনীতাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেয় স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্রু। অবশেষে পৃথিবীর আলো দেখলেন তাঁরা।
